রানা ‘XYZ’কোম্পানির ২,০০,০০০ শেয়ার ক্রয় করেছেন। ‘XYZ’কোম্পানি পরবর্তীতে ব্যবসায় সম্প্রসারনে অধিকতর মূলধনের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যু করতে চাচ্ছে। কিন্তু আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে পারছে না। অন্যদিকে রানা আরও ১,০০,০০০ শেয়ার ক্রয় করে কোম্পানি পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু তার ক্রয়কৃত শেয়ারের প্রকৃতি অনুযায়ী সেটা সম্ভব নয় ।

সাহিন ৫০ জন সমমনা লোক নিয়ে ২০১১ সালের জুন মাসে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যথানিয়মে নিবন্ধন করেন। আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে কাজ শুরু করার অনুমতিও গ্রহণ করে। কিন্তু ২০১২ সালের জুন মাসের মধ্যে তারা ব্যবসায়িক কাজ আরম্ভ করতে পারেনি ।

জনাব আরিফ ও তার ছয় বন্ধু একত্রিত হয়ে ৯০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে আনন্দ ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় গঠন করেন। আরিফ ও তার বন্ধু রিপন পরিচালক নিযুক্ত হন। তাদের সঠিক পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বৃদ্ধিসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে উচ্চহার সুদের ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।

জাবেদ সাহেব তার চার জন বন্ধুকে নিয়ে নতুন কুঁড়ি নামক একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা স্থাপন করেন। বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় অল্পসময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সফলতা পায়। কারখানাটি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে, পুঁজির স্বল্পতা দূরীকরণের জন্য বাজারে শেয়ার বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা সদস্যসংখ্যা ঠিক রেখে বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন দলিলপত্র তৈরি করেন এবং নিবন্ধকের নিকট আবেদন করেন।

জনাব জাকির তার ১০ (দশ) বন্ধুকে নিয়ে ঢাকা শহরে 'রনি এন্টারপ্রাইজ' নামক একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতিপত্র গ্রহণের মাধ্যমে তাঁরা ব্যবসায় গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তাঁদের মূলধনের পরিমাণ ৪৮ কোটি টাকা। দক্ষতা ও সুনামের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে ১৭ কোটি টাকা মুনাফার্জন করে। সম্প্রতি তাঁরা ব্যবসায় সম্প্রসারণের চিন্তা করেন, যার জন্য অতিরিক্ত ২৩ কোটি টাকা মূলধন প্রয়োজন যা শেয়ার বিক্রি অথবা ব্যাংক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন।

জনাব সিফাত ও তাঁর ১০ বন্ধু মিলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করার উদ্যোগ নেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাঁরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট হয়ে একটি পত্র ইস্যু করেন। পত্রটি পাওয়ায় পর তাঁরা ব্যবসায় আরম্ভ করেন। ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য তাঁরা জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন।

রতন তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে টাঙ্গাইলে 'বিডি ফার্নিচার' নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। তাদের প্রাথমিক মূলধন ১০ কোটি টাকা। সকলের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য তারা ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে জনগণের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করতে চায়।

মি. সাত্তার একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তিনি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করেন। তিনি তিস্তা ব্যাংক লিমিটেডের কিছু শেয়ার ক্রয় করলেন। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা লাভ করেন। সকল সুযোগ-সুবিধা ঠিক থাকলেও তিনি লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় ভোগেন।

জনাব আরেফিন, ক ও খ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে সম্পৃক্ত। ক প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড লাইসেন্স এবং খ প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনপত্র নিয়ে কাজ শুরু করেন। দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিল। মেয়াদ শেষে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য ক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক জনাব আরেফিনকে নোটিশ প্রদান করে। খ এর ক্ষেত্রে মালিক আরেফিনের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়। দুটি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে সচ্ছল।

মাশরাফি ও তার ৬ বন্ধু মিলে এমন একটি ব্যবসায় সংগঠন গঠন করার জন্য পরিকল্পনা করে যাতে জনগণ থেকেও মূলধন সংগ্রহ করা সম্ভব। তাই তারা প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে একটি সনদ ইস্যু করেন। কিন্তু ব্যবসায় শুরু করার জন্য আরও দলিলপত্রসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।